একটা কথা জানেন কি? প্রযুক্তি বোদ্ধাদের অনেক তালিকাতেই উইন্ডোজ ভিসতা সবার উপরে অবস্থান করছে। তবে ভালো পন্যের তালিকাতে নয়, সবচেয়ে বাজে পণ্যের তালিকাতে! আর কেন উইন্ডোজ ভিসতা বাজে এই উত্তরটা আমরা সবাইই জানি। তা হচ্ছে হার্ডওয়ার এবং বিভিন্ন সফটওয়ারের সাথে এর কাজ না করার ক্ষমতা। ভিসতা কিভাবে এতোটা আনকম্পাটিবল হলো তার কোনো সন্তোষজনক জবাব আজো মাইক্রোসফট দিতে পারেনি। তারপরো উইন্ডোজ ৭ নিয়ে বরাবরাই মাইক্রোসফট বড় বড় কথা বলে এসেছে। আর এই বড় কথাগুলার মধ্যে বড় স্থান দখল করে আছে কম্পাটিবিলিটি নিয়ে কথা। মাইক্রোসফট বলছে হালের সব সফটওয়ার ও হার্ডওয়ার তো কম্পাটিবল হবেই সাথে সাথে আগের সফটওয়ার ও হার্ডওয়ার চালাবার জন্যও বিশেষ পন্থা রাখা হয়েছে উইন্ডোজ ৭-এ। যদিও এসব কথা আপাতদৃষ্টিতে বাস্তবতার মুখ দেখেছে বলেই মনে হচ্ছে তবু এক্সপির তুলনায় এখনো বেশ খানিকটা পিছিয়ে আছে সেভেন। সেভেনে কম্পাটিবিলিটির জন্য মাইক্রোসফট সূচনা করেছে সম্পূর্ণ নতুন সিস্টেম ‘এক্সপি মোড’। এর মাধ্যমে আপনি আপনার উইন্ডোজ় সেভেনের ভেতরেই উইন্ডোজ এক্সপি চালাতে পারবেন। এখন আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিব উইন্ডোজ সেভেনের কম্পাটিবিলিটি অপশনের সাথে এবং শিখাব এর যথার্থ ব্যবহারের কলাকৌশল।
কম্পাটিবিলিটি কি?
উইন্ডোজ ৭ এখনো নতুন একটি অপারেটিং সিস্টেম। কিন্তু আপনি যেই পিসি ব্যবহার করেন তার হার্ডওয়ারগুলাতো আর নতুন না। সেগুলা যখন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বানিয়ে বাজা্রজাত করে তখন নিশ্চয়ই তারা সেভেনের কথা মাথায় রাখেনি,তাই না? সফটওয়ারের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। বর্তমান জমানার আমাদের ব্যবহার্য সবকিছুই বানানো হয়েছে এক্সপি কিংবা কিছুক্ষেত্রে ভিসতাকে মাথায় রেখে। তাহলে? এই সবকিছু উইন্ডোজ ৭ এ ঠিকমতো চলবে তো? কেননা নতুন অপারেটিং সিস্টেম মানেই নতুন কিছু,আর যেহেতু সেভেনের কার্নাল আগের সব অপারেটিং সিস্টেমের চেয়ে আলাদা তখন কি হবে? এইসব কিছু মাথায় নিয়েই মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ৭ এ কম্পাটিবিলিটি ইস্যুটি নিয়ে শুরু থেকেই কাজ করে গেছে। কম্পাটিবিলিটি মানে হচ্ছে এক অপারেটিং সিস্টেমের জন্য বানানো সফটওয়ার বা হার্ডওয়ার আরেক অপারেটিং সিস্টেমে চলার ব্যাপারটা। যদিও ভিসতাতেও এই সিস্টেম ছিল কিন্তু তা কতটুকু কাজে এসেছে তা আমরা সবাইই জানি। তবে আশার কথা হচ্ছে সেভেনে তেমনটা হয়নি। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন হার্ডওয়ার ও সফটওয়ার সেভেনের সাথে ভালোভাবেই কাজ করছে। বিশেষত পিসির বেশিরভাব হার্ডওয়ারের জন্য উইন্ডোজ ৭ এর ডিফল্ট ড্রাইভারই যথেষ্ঠ ভালো পারফরম্যান্স প্রদানে সক্ষম।
এবার আপনাদের বলবো বিভিন্ন সফটওয়ারের জন্য কম্পাটিবিলিটি অপশন কিভাবে ব্যবহার করবো সেটি।প্রথমেই বিবেচনা করি আপনার কোনো সফটওয়ার ইন্সটল হতে চাচ্ছে না।তখন কি করবেন?>> প্রথমে সেটাপ ফাইলে রাইট ক্লিক করে ট্রাবলশ্যুট কম্পাটিবিলিটি সিলেক্ট করুন।
>> এরপর উইন্ডোজ আপনাকে দুইটা অপশন দেখাবে।ট্রাই রিকমান্ডেড সেটিংস এবং ট্রাবলশ্যুট প্রোগ্রাম।
>> ঝামেলা এড়াতে চাইলে প্রথমটি নির্বাচন করে উইন্ডোজই সেই প্রোগ্রামের জন্য সম্ভাব্য সঠিক সেটিংস নির্বাচন করে সেটিকে রান করাবে।এজন্য আপনাকে স্টার্ট দা প্রোগ্রামে ক্লিক করতে হবে।আর উপরে আপনি দেখতে পাবেন কোন সেটিংস এপ্লাই করা হচ্ছে।এক্ষেত্রে উইন্ডোজ এক্সপি সার্ভিস প্যাক ২ এর সেটিংস নির্বাচন করেছে উইন্ডোজ।
>> তবে ঝামেলা হলেও আমার পর্যবেক্ষণ হচ্ছে এইভাবে কাজ চালানোর চেয়ে ট্রাবলশ্যুট প্রোগ্রাম নির্বাচন করাটাই পরবর্তীতে ভালো ফল বয়ে আনে।
>> ট্রাবলশ্যুট প্রোগ্রাম-এ ক্লিক করলে পরের মেনুতে জানতে চাওয়া হবে আপনার কি সমস্যা হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রথমটিই আপনি টিক দিবেন যেটিতে বলা হচ্ছে আগের উইন্ডোজ ভার্সনে এটি চলতো কিন্তু সেভেনে চলছে না। নেক্সটে যান।
>> এবারে আগের মতোই।প্রোগ্রাম স্টার্ট করুন ও সেটিংস সেভ করে রাখুন।
এই পন্থাতো মূলত ইন্সটলের সময়ে কাজে লাগানোর জন্য।আর ইন্সটলের পর?বিশেষত গেমারদের কাজে লাগবে এমন পন্থা বলছি এখন।হয়তো অনেকেই এটি জানেন কিন্তু যারা জানেন না তাদের তো জানাতে হবে! সেকথাই বলবো এবার।
>> এপ্লিকেশন বা গেমের রান করার .exe ফাইলে রাইট ক্লিক করে প্রোপার্টিজে যান।
>> কম্পাটিবিলিটি ট্যাব সিলেক্ট করুন।
>> কমাটিবিলিটি মোড থেকে ‘রান দিস প্রোগ্রাম ইন কম্পাটিবিলিটি মোড ফর’ বক্সটি চেক করে কম্পাটিবল অপারেটিং সিস্টেম নির্বাচন করে দিন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন